
বাংলাদেশএকটি সম্ভাবনাময় জনপদ। ইতিহাস, সংস্কৃতি আর মানুষের স্বপ্নে গড়া এই দেশ কিন্তু রাক্ষসী আওয়ামী লীগের থাবায় আলোর প্রতীক নিভে গিয়েছিল। আগুন ধরল এই সুন্দর ভূখণ্ডে—জ্বালাতে শুরু করল স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার আর ভোটের অধিকারকে দেশের ওপর নেমে এসেছিল একটি মাদার অফ মাফিয়া হাসিনা । এক দল, এক নেত্রী, এক শাসনব্যবস্থা—তার নাম ছিল আওয়ামী লীগ। তারা বলত, “আমরাই আলো, বাকিরা অন্ধকার।” কিন্তু সেই আলো ক্রমশ হয়ে উঠল দাউ দাউ আগুন, পোড়াতে শুরু করল দেশজুড়ে মানুষকে। রক্ত দিতে হলো আবুসাইদ মুগ্ধ কে
রাতের অন্ধকারে তখন মানুষ ফিসফিস করে বলত: “যদি বলো কিছু, ঘুম হারাম হবে। যদি লেখো কিছু, প্রোফাইল গায়েব হবে। ভোট তো? সেটা তো আগেই কারিগরি ল্যাবে বানানো!” চলছিল এক নিষ্ঠুর রাজত্ব—নির্বাচন ছিল প্রহসন, বাকস্বাধীনতা ছিল বিলাসিতা। অথচ হঠাৎ একদিন, ৫ই আগস্ট—গর্জে উঠল জনতার সাগর। ভয়ে কাঁপল শাসকের প্রাসাদ, নিজ ভারেই ভেঙে পড়ল লৌহদৃঢ় ক্ষমতার চূড়া। প্রধান নেত্রী শেখ হাসিনা এক গোপন সূরঙ্গপথে পালিয়ে গেল পাশের দেশ ভারতে, যেখানে বলা হয় তিনি আত্মগোপনে এক পাহাড়ি দুর্গে। তারপর শুরু হলো এক নতুন অধ্যায়, যেন রূপকথার গল্প কে হার মানায়। আসনে বসলো ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস কিন্তু ভারত থেকে রাক্ষুসী হাসিনা দেখে হয়তো কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়েছে আর ভয়ে চুপ থাকা মুখগুলো পেল নতুন ভাষা, পেল সাহস একটা নুতন স্বাধীনতা
কিন্তু কী হবে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হলে.?
১. আওয়ামী লীগ স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা তাদের নিষিদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বিলুপ্তি হতে পারে। এতে গণতন্ত্রের পথ সুগম হতে পারে এবং একটি প্রতিযোগিতামূলক, অংশগ্রহণমূলক রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি হতে পারে।
২. দলীয়করণ ও প্রশাসনে পক্ষপাত বন্ধ হতে পারে। ফলে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো আরও নিরপেক্ষ ও জবাবদিহিতার আওতাভুক্ত হতে পারে।
৩. রাজনৈতিক বিকল্প শক্তির উত্থান আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে নতুন বা দুর্বল হয়ে পড়া রাজনৈতিক দলগুলো সংগঠিত হওয়ার সুযোগ পেতে পারে।
৪. আওয়ামী লীগ অধীনে মানবাধিকার লঙ্ঘন অভিযোগ দলটি নিষিদ্ধ হলে তা বন্ধ হতে পারে। মিছিল-মিটিং, বাকস্বাধীনতা, সাংবাদিকতার স্বাধীনতা অধিকারের পরিসর বাড়তে পারে।
৫. নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কার একটি দলীয় দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত হয়ে নির্বাচন কমিশন আরও স্বাধীন ও নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে পারবে। এর ফলে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।
৬.দীর্ঘমেয়াদে একটি দল ক্ষমতায় থাকলে প্রশাসন অনেক সময় দলীয়করণে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হলে প্রশাসন নিজ ভূমিকার প্রতি আরও দায়িত্বশীল হতে পারে এবং রাজনীতির প্রভাব থেকে মুক্ত হতে পারে।
৭. রাজনীতিতে দীর্ঘদিন পুরাতন নেতাদের আধিপত্য থাকলে নতুন মুখ ও চিন্তাধারার প্রবেশ বাধাগ্রস্ত হয়। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হলে নতুন প্রজন্মের তরুণ নেতৃত্ব রাজনীতিতে প্রবেশের সুযোগ পাবে এবং রাজনীতির গুণগত মান উন্নত হতে পারে।
৮.একদলীয় আধিপত্য থাকলে বিরোধী দলের প্রতি সহনশীলতা কমে যায়। একটি আধিপত্যবাদী দল নিষ্ক্রিয় হলে রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা আরও ন্যায্য ও ভারসাম্যপূর্ণ হতে পারে।
৯. দলীয় শাসনে মিডিয়া অনেক সময় নিয়ন্ত্রিত ও ভীত থাকে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হলে মুক্ত গণমাধ্যমের কার্যক্রম ও সত্য বলার সাহস বাড়তে পারে, যা গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য।
১০. যদি দলীয় শাসনে রাষ্ট্রীয় অর্থনীতি কিছু গোষ্ঠীর হাতে চলে গিয়ে থাকে, তাহলে সেই চক্র ভেঙে অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হতে পারে। সাধারণ মানুষ ও প্রকৃত উদ্যোক্তারা সুযোগ পেতে পারে।
১১ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রিক অতি উৎসাহী সরকারি কর্মকর্তারা প্রাকৃত ভাবে চাকরি হরাতে পারে এবং আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা ষড়যন্ত্র অত্যাচার রাজনীতি থেকে বের হয়ে আসবে
মানুষ এখন জানে স্বৈরতন্ত্র যতই শক্তিশালী হোক না কেন, যখন জেগে ওঠে কোটি মানুষের অন্তর, তখন রাজা পালায়, প্রাসাদ ভেঙে পড়ে আর শুরু হয় এক নতুন রূপকথা যেখানে ‘দেশ’ মানে শুধু মানচিত্র নয়, দেশ’ মানে স্বপ্ন, সাহস আর সত্য।