
মেহেরপুর, ৭ মে ২০২৫:
মেহেরপুরে এক অষ্টাদশী তরুণীকে হাত-পা বেঁধে জোরপূর্বক হারপিক খাইয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তার কথিত প্রেমিক শিমুলের বিরুদ্ধে। বুধবার দুপুরে মেহেরপুর জেলা কারাগারের পেছনে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের সহায়তায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে পুরো ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মধ্যে তৈরি হয়েছে নানান প্রশ্ন ও ধোঁয়াশা।
ভুক্তভোগী তরুণী জানান, তার নাম বন্যা। তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলার সরজগঞ্জ এলাকার জুয়েল নামের এক ব্যক্তির মেয়ে। তার দাবি অনুযায়ী, মেহেরপুর সদর উপজেলার খন্দকারপাড়া এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে শিমুলের সঙ্গে তার এক বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বন্যার অভিযোগ, প্রেমিক শিমুল মোবাইল ফোনে ডেকে এনে বুধবার সকাল ১১টার দিকে তাকে মেহেরপুর জেলখানার পেছনের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে শিমুল তার হাত-পা বেঁধে জোরপূর্বক হারপিক খাওয়ায় এবং ফেলে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা অসুস্থ অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক নয় বলে জানা গেছে।
তবে পুরো ঘটনার পেছনে আরও একটি রহস্যময় দিক উঠে এসেছে। মেহেরপুর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের একটি সূত্র জানিয়েছে, মাত্র কয়েকদিন আগেও এক নারী, যিনি এই বন্যা নামেই পরিচিত, ভিন্ন নাম ও পরিচয়ে ক্যাবিনে ভর্তি ছিলেন এবং তখন তার সঙ্গে থাকা একজনকে স্বামী হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন। এ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মধ্যেই বিভ্রান্তি তৈরি হয়।
বিভিন্ন সূত্র ও স্থানীয়দের একাংশের বক্তব্য, এটি নিছক প্রেমঘটিত প্রতারণা নাকি অন্য কোনো ফাঁদ—তা খতিয়ে দেখা জরুরি। মেয়েটির বক্তব্য ও পূর্ব রেকর্ড মিলিয়ে দেখার পর অনেকে মনে করছেন, এই ঘটনা প্রেমিক শিমুলকে দোষারোপ করে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা হতে পারে।
এদিকে স্থানীয় সচেতন মহল ও মানবাধিকার কর্মীরা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন। এক মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিনিধি বলেন, “যদি সত্যিই মেয়েটির ওপর এমন নির্যাতন হয়, তা হলে অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার। আবার যদি এটি সাজানো নাটক হয়, তবে সেটিও আইন অনুযায়ী তদন্ত হওয়া জরুরি।”
একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচারণা খুবই প্রয়োজনীয় একটি উদ্যোগ। পরিবেশ রক্ষায় আমাদের সবারই দায়িত্ব আছে, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের ভূমিকা অপরিসীম। এই ধরনের আয়োজন শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা বাড়াতে সাহায্য করে। প্লাস্টিকের বিকল্প নিয়ে আলোচনা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে শুধু আলোচনা নয়, এই বিষয়ে বাস্তবিক পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। আপনি কি মনে করেন এই ধরনের প্রচারণা স্থানীয় পরিবেশ রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে?