
দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। তবে প্রকাশিত ফলাফলকে ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। মেধা ভিত্তিক ভর্তি ব্যবস্থার পরিবর্তে কোটাভিত্তিক বৈষম্য ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
মেধাবীদের হতাশ করে এবার ভর্তি পরীক্ষায় ৭০ নম্বর পেয়েও হাজার হাজার শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। বিপরীতে ৪১ থেকে ৪৬ নম্বর পাওয়া প্রায় আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থী কোটার সুবিধায় মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন। বিশেষ করে মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ সংরক্ষিত আসনগুলো নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশের ৫৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ৫,৩৮০টি আসনের মধ্যে ২৬৯টি আসন মুক্তিযোদ্ধা কোটার জন্য সংরক্ষিত। তবে কোটার মধ্যেও পাস করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ১৯৩ জন। তাদের প্রাপ্ত নম্বর যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মাহিন সরকার বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন,
“৪১ পেয়ে কোটায় চান্স পাওয়া হলো, আর ৭৩ পেয়ে কোনো চান্স নেই! আবারও মেধাবীরা কোটা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। গণঅভ্যুত্থান থেকেই এর শেষ শুরু হবে।”
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম মন্তব্য করেন,
“ভর্তি পরীক্ষায় এখনো কোটার শোষণ চলবে? আজ থেকেই এই বৈষম্যের শেষ হওয়া উচিত। ফুলস্টপ।”
কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল, বৈষম্যমূলক এই পদ্ধতির সংস্কার। অথচ, কোটার অসংগতিতে মেধাবীরা আজও বঞ্চিত। এ নিয়ে সচিব ডা. মো. সারোয়ার বারী বলেন,
“মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিস্তারিত তথ্য খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এমন বৈষম্য থাকা উচিত নয়।”
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, নতুন করে কোটার বৈষম্য যেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অর্জনকেই ব্যর্থ করে দিচ্ছে। মেধার জায়গায় কোটার প্রাধান্য কতদিন চলবে—এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করছেন।
(তথ্যসূত্র: দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস)