
২৯ জানুয়ারি ২০২৫ | নিজস্ব প্রতিবেদক | মেহেরপুর স্বদর
মেহেরপুর-কুষ্টিয়া এবং মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা রুটে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়া কার্যকর করার ঘোষণার প্রায় এক সপ্তাহ পার হলেও, তা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। মেহেরপুর আন্তঃজেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতি এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, মেহেরপুর জেলা কমিটির মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও বাস্তবে এর প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অনেক বাস চালক এবং সহকারী এই চুক্তিকে উপেক্ষা করছেন এবং শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পূর্ণ ভাড়া আদায় করছেন।
গত ২২ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে মেহেরপুর আন্তঃজেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম বাবলু, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ এবং সদস্য সচিব মুজাহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ঘোষণা করা হয় যে, শুক্র ও শনিবার ব্যতীত শিক্ষার্থীরা স্টুডেন্ট আইডি কার্ড এবং স্কুল/কলেজের ড্রেস পরিধান করে বাসে চলাচল করলে হাফ ভাড়ার সুবিধা পাবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে নির্ধারিত ভাড়া তালিকা উল্লেখ করা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ:
- মেহেরপুর থেকে কুষ্টিয়া পুরো ভাড়া ১২৮ টাকা, হাফ ভাড়া ৬৫ টাকা।
- মেহেরপুর থেকে চুয়াডাঙ্গা পুরো ভাড়া ৬১ টাকা, হাফ ভাড়া ৩৫ টাকা।
- এছাড়াও, অন্যান্য স্টপেজের ভাড়ার তালিকাও নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করছেন যে, বাস চালক এবং সহকারীরা এই চুক্তিকে অবজ্ঞা করছেন এবং তাঁদের কাছ থেকে সম্পূর্ণ ভাড়া আদায় করছেন। শিক্ষার্থীরা জানান, হাফ ভাড়া চাওয়ার পর চালকরা নানা ধরনের অজুহাত দিচ্ছেন। একজন শিক্ষার্থী থেকে প্রাপ্ত সূত্র অনুযায়ী কন্টাক্টারের ভাষ্যমতে , “এসব বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কি হবে? বেশি বুঝো? পুরো ভাড়া দেও।”
আরেকজন শিক্ষার্থী জানান, “আমাদের স্টুডেন্ট আইডি এবং ড্রেস থাকার পরও বাসের সহকারী দুর্ব্যবহার করেন। অনেক সময় বাস থেকে নামিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।”
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বাস মালিক সমিতি এই বিষয়ে যথাযথ নজরদারি করছে না। তারা মনে করছেন, বাস চালক ও সহকারীদের এই অবহেলা এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসদাচরণের কারণ প্রশাসনের উদাসীনতা।
উপরে উক্ত সমস্যার সমাধানের নিম্নোক্ত উপলক্ষে গুলি গ্রহণ করা যেতে পারেঃ
- বাস চালক ও সহকারীদের চুক্তি অনুযায়ী কাজ করতে বাধ্য করতে হবে।
- প্রতিটি বাসে নিয়মিত তদারকি নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে সক্রিয় হতে হবে।
- শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া নিশ্চিত করতে অভিযোগ গ্রহণ ও সমাধানের জন্য একটি হটলাইন চালু করা যেতে পারে।
শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়ার সুবিধা কার্যকর না হওয়ায় সাধারণ শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এই চুক্তি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত না হলে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ আরও বাড়তে পারে।