
গত কিছু দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি বিবৃতি প্রচারিত হচ্ছে, যার শিরোনাম
“ফেব্রুয়ারিতে হরতাল ও আন্দোলনের গুজব বিষয়ক জরুরি বিজ্ঞপ্তি”
এই বিবৃতির মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য দাবি করা হচ্ছে। তবে, তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমার স্ক্যানার জানিয়েছে, ইন্টারনেটে ছড়ানো এই বিবৃতির তথ্য সঠিক নয়।
রিউমার স্ক্যানার তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে যে, ২৮ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজে ফেব্রুয়ারি মাসে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে, এমন একটি পোস্ট শেয়ার করা হয়েছিল। এই কর্মসূচি অনুযায়ী, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লিফলেট বা প্রচারপত্র বিলি, ৬ ফেব্রুয়ারি প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ, ১০ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ মিছিল, ১৬ ফেব্রুয়ারি অবরোধ কর্মসূচি এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক হরতাল ঘোষণা করার কথা ছিল। তবে, এই কর্মসূচি আওয়ামী লীগের কোনো নেতা বা কর্মীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো এই বিবৃতিতে শেখ হাসিনার শারীরিক অবস্থার ব্যাপারে বলা হচ্ছে যে তিনি “অত্যন্ত অসুস্থ” এবং “প্রাণঘাতী ক্যান্সারে আক্রান্ত“। সেখানে আরও বলা হচ্ছে যে, শেখ হাসিনা কোনো রাজনৈতিক আশা-আকাঙ্ক্ষা রাখেন না এবং তিনি শান্তি চান। তবে, এই বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজের হ্যাক হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে যে বিএনপি জামায়াতের লোকেরা ওই পেজ হ্যাক করে উস্কানিমূলক প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে।
তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমার স্ক্যানার এই বিবৃতি এবং তথ্যের সঠিকতা নিশ্চিত করেছে এবং বলেছে যে, এই সব কিছু কেবল গুজব ও মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছু নয়। এই ধরনের প্রপাগান্ডার উদ্দেশ্য হলো দেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে অস্থির করে তোলা এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে জনগণকে বিভ্রান্ত করা।
এটা স্পষ্ট যে, আওয়ামী লীগ ও তাদের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কিংবা গোষ্ঠী এখনও নিজেদের বিরুদ্ধে যে কোনো রাজনৈতিক চাপ বা আন্দোলন মোকাবেলা করতে ব্যর্থ, তারা তার জন্য মিথ্যাচার ও সহিংসতার আশ্রয় নিচ্ছে। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে, দেশের জনগণকে সচেতন থাকার এবং কোনো ধরনের প্রপাগান্ডা বা বিভ্রান্তিতে পড়ার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।