
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আয়োজনে মোগল আমলের আদলে ঈদ আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে এই মিছিলে মূর্তি ব্যবহারের বিষয়টি নিয়ে ধর্মীয় বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (৩১ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন প্রশ্ন তোলেন, “ঈদ মিছিলে মূর্তি কারা আনল, কারা বৈধতা দিল? সবাইকে ধর্ম অবমাননার দায়ে আইনের আওতায় আনা হবে ইনশাআল্লাহ!” তিনি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর হাদিস উল্লেখ করে বলেন, ইসলাম মূর্তি বা ভাস্কর্যের অনুমতি দেয় না।
সোমবার সকাল ৮:৩০টায় বাণিজ্য মেলার পুরোনো মাঠ থেকে ঈদ আনন্দ মিছিল শুরু হয়। ব্যান্ডদলের বাদ্যবাজনার তালে মানুষ নেচে-গেয়ে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করে। মিছিলে আটটি সুসজ্জিত ঘোড়া, ১৫টি ঘোড়ার গাড়ি ও মোগল-সুলতানি আমলের ইতিহাসসংবলিত ১০টি পাপেট শো প্রদর্শিত হয়। মিছিলটি মানিক মিয়া এভিনিউ হয়ে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার সামনে শেষ হয়।
এরপর উন্মুক্ত মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়, যেখানে জাসাসের শিল্পীরা ‘রমজানের ওই রোজার শেষে এল খুশির ঈদ’সহ জনপ্রিয় গান পরিবেশন করেন। এ সময় সাধারণ মানুষদের সেমাই ও মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।
মিছিলে মূর্তি ব্যবহারের বিষয়টি নিয়ে ধর্মীয় মহলে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ একে ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে দেখছেন, আবার অনেকে একে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে আপত্তিকর বলে দাবি করছেন। বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ কোনো মন্তব্য করেছে কি না, তা এখনো জানা যায়নি।
আপনার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি গুছিয়ে সংক্ষেপে উপস্থাপন করেছি। প্রয়োজনে কোনো পরিবর্তন বা সংযোজনের দরকার হলে জানান।