
মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক বলেন,
“মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের যেসব অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলোর পূর্ণ সংস্কার করা হবে। ইতোমধ্যে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। যারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নন, কিন্তু সে পরিচয়ে রাষ্ট্রীয় সুবিধা নিচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তিনি আরও জানান, বর্তমানে এ বিষয়ে একাধিক মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। মামলাগুলোর নিষ্পত্তি শেষে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক বলেন,
“মুজিবনগরের ইতিহাস জাতির গর্ব, যা কখনো মুছে ফেলা যাবে না। ইতিহাস যেন বিকৃত না হয়, সেজন্য সকলকে সম্মিলিতভাবে এই দিবস উদযাপন করতে হবে। সরকারই সাংবিধানিকভাবে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছে।”
এর আগে উপদেষ্টা জাতীয় সংগীতের সুরে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং সর্বপ্রথম মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। তার পরপরই একে একে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে জামুকা, খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার মোঃ হোসাইন শওকত, জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ, পুলিশ সুপার মাকসুদা আক্তার খানম, মেহেরপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা আনসার কমান্ড্যান্ট ও মুজিবনগর উপজেলা প্রশাসন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত জাহান চৌধুরী, খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার মোঃ হোসাইন শওকত, মেহেরপুর জেলা প্রশাসক সিফাত মেহেনাজ, পুলিশ সুপার মাকসুদা আক্তার খানম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তরিকুল ইসলাম, তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম ও মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ মন্ডল।
অনুষ্ঠান শেষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক মুজিবনগর কমপ্লেক্স ঘুরে দেখেন এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার পরিকল্পনার নির্দেশ দেন।