
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রোস্টেট ক্যান্সারের তৃতীয় পর্যায় নির্ধারিত হওয়া এবং তার আসন্ন সার্জারির খবর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। বিশেষত, মুসলিম বিশ্বে এই খবরটি এক ভিন্ন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
নেতানিয়াহুর শাসনামলে ফিলিস্তিনে সংঘটিত সহিংসতা, গণহত্যা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো তাকে মুসলিম বিশ্বের অনেকের কাছে একজন বিতর্কিত নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। গাজা, পশ্চিম তীর এবং জেরুজালেমে সংঘটিত সহিংসতার জন্য নেতানিয়াহুকে দায়ী করে আসছেন অনেকে। তার নেতৃত্বে ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসন এবং নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যা বহুবার আন্তর্জাতিক নিন্দার মুখে পড়েছে
মুসলিম বিশ্বে, বিশেষ করে ফিলিস্তিন, তুরস্ক, পাকিস্তান এবং মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশগুলোতে এই খবরটি অনেকের কাছে একটি “প্রাকৃতিক বিচার” বা “ঈশ্বরের শাস্তি” হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই প্রসঙ্গে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ বলছেন, “অবশেষে প্রকৃতি তার শাসনের প্রতিদান দিচ্ছে।” আবার কেউ কেউ বলছেন, “ফিলিস্তিনের অসংখ্য শহীদের আর্তনাদ আজ তার জীবনকে তাড়া করছে।”
তবে, মুসলিম বিশ্বের নেতারা এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এই বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। কেউ এই খবরে আনন্দ প্রকাশ না করে এটি মানবিকতার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যদিকে, কেউ নেতানিয়াহুর দীর্ঘ শাসনামলে হওয়া বর্বরতার দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছেন।
এই খবরটি মুসলিম বিশ্বে একধরনের তৃপ্তি এনে দিয়েছে, কারণ নেতানিয়াহুকে তার কর্মকাণ্ডের জন্য বরাবরই একজন নির্যাতনকারী নেতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তবে অনেকে মনে করছেন, নেতানিয়াহুর ব্যক্তিগত অসুস্থতা নিয়ে উৎসাহিত হওয়ার পরিবর্তে ফিলিস্তিন এবং মুসলিম বিশ্বের অধিকারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়াই হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।